চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষণ থানার রুসুলপুর এলাকার গৃহীনি আছমা বেগম (৪০)। যখন চারদিকে করোনার আতংক ছড়িয়ে পড়ে তখন তিনিও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আছমা বেগম বলেন, “সামান্য জ্বর ঠান্ডা কাশি হলেই মনে করতেন তার করোনা হয়েছে। তার বাড়ি থেকে চরফ্যাসন হাসপাতাল অনেকটা দূরে। যার কারণে সামান্য সমস্যাতে ডাক্তারের কাছে যেতে পারতাম না।” তবে আছমা বেগম ছিলেন রেডিও মেঘনার একজন নিয়মিত শ্রোতা। তিনি রেডিওতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক একটি অনুষ্ঠান “হ্যালো ডাক্তার” শোনেন। এই অনুষ্ঠানে ডাক্তার সরাসরি উপস্থিত থাকেন আর তার কাছে প্রশ্ন করার অপশন থাকায় তিনি তার সমস্যার কথা ফোন কলের মাধ্যমে বলেন। সেখানে তাকে পরামর্শ দেওয়া হয় এবং তিনি সেই পরামর্শ মেনে সুস্থ হয়ে ওঠেন যা পরবর্তী অফলাইনের অনুষ্ঠানে ফোন কলের মাধ্যমে জানান। তিনি আরো বলেন, “করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা কিভাবে সুরক্ষিত থাকবো সেই পরামর্শ শুনি। নিজে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকি এবং পরিবারের সবাইকে সেভাবে দেখে রাখি।”পড়াশুনা না জানার কারণে তিনি এসএমএস করতে পারেন না তার জন্য ফোনিং অনুষ্ঠানের জন্য সব সময় অপেক্ষা করে থাকেন বলে জানান আছমা বেগম। তিনি বলেন, “যখনই হ্যালো ডাক্তার অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয় তখনই আমি বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে অনেক অভ্যাসের পরিবর্তন করেছি। যেমন, বার বার হাত ধোয়ার অভ্যাস আমার আগে ছিলনা। যখনই শুনলাম হাত ধোয়ার ফলে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব তখনই আমিসহ ঘরের সবাইকে এই অভ্যাসটি মেনে চলার চেষ্টা করি। এখন ঘরের সামনে বালতি ভরে পারি রাখি সাবান রাখি। যখনই কেউ আসে হাত ধুয়ে নেয়। যদি অন্য কেউ না মানতে চায় তখন তাকে বুঝিয়ে বলি।”