চরফ্যাসনের কুতুবগঞ্জে প্লাস্টিকের কারখানায়, কর্মসংস্থান গড়ে তুলেছেন এলাকার নারীরাদরিদ্র, বেকার অসহায় নারী পুরুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে প্লাস্টিকের কারখানা। ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার কুতুবগঞ্জ এলাকায় এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। চরফ্যাসনের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্লাস্টিকের বোতল ও ভঙ্গাড়ি এনে জমা করা হচ্ছে এখানে। কারখানার মালিকরা ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিকে বোতল কিনে বাছাই করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেন। সংসারে অভাব-অনাটন ও স্বামীর একা আয়ে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে পড়ে। তাই এই কারখানায় কাজ করছেন বলে জানায় রিনা আক্তার। দুই বেলা খাবারসহ মাস শেষে ৫ হাজার টাকা পান তিনি। রিনা আক্তারের মতো প্লাস্টিকের কারখানায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১৫ জন নারীর। কোনো ধরনের কাজ না থাকায় প্লাস্টিকের কারখানায় কাজ করতে পেরে বেকারত্ব দূর হয়েছে বলে জানান সালাউদ্দিন ও শফিউল্লাহ।কারখানার মালিক শরিফ বলেন, ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের বোতল ও ভাঙ্গাড়ি কিনে এখানে বাছাই করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়। সেখানে এসব ফেলে দেওয়া পণ্য থেকে জগ, চেয়ার, প্লাস্টিকের সুতা, বালতিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করা হয়। এই কারখানায় চরফ্যাসনের দরিদ্র, বেকার নারী পুরুষদের কাজের সুযোগ করে দেওয়ায় অনেকের সংসারের অভাব দূর হচ্ছে। এখানে প্রায় ৩০ জন নারী পুরুষ কাজ করেন। মাস শেষে বিভিন্ন স্তরে ৫ হাজার করে প্রদান করা হয়। গ্রামের নারীরা এ কাজে যুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে জানান শরিফ। এবিষয়ে চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, সস্তা আর সহজলভ্য হওয়াতে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই প্লাস্টিকের সামগ্রী। ব্যবহারের পর মানুষের অসচেতনায় যেখানে সেখানে ফেলে দিচ্ছেন তাতে করে পরিবেশ নষ্ট হয়। কিন্তু চরফ্যাসনে প্লাস্টিকের কারখানা হওয়ার কর্মসংস্থানের কারনে এখানকার সাধারণ মানুষের জন্য ভালো হয়েছে। সালমা আফরিন।রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।