মিম চরফ্যাসন উপজেলার বাসিন্দা। চরফ্যাসন সরকারি কলেজে তিনি অধ্যায়নরত ছাত্রী। পড়াশুনার পাশাপাশি অবসর সময়ে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে তিনি রেডিও মেঘনাকে বেছে নেন। সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে সন্ধ্যায় রেডিও মেঘনার অনুষ্ঠান শোনেন এবং বিভিন্ন মতামত জানান তিনি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের গুজব দেখা যায়। মিম বলেন, “আমিও ফেইসবুকে অনেক ধরনের তথ্য পাই এবং সেগুলো পরে আমার ভিতর এক ধরনের হতাশা কাজ করে। সঠিক তথ্য কিভাবে জানতে পারবো এ ব্যপারে না জানার ফলে আমিও ভাবতাম রসুন খেলে মধু খেলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে হবে না। সে অনুসারে রসুন, কালোজিরা, থানকুনি পাতা ইত্যাদি খেতাম। প্রতিদিনের মতো একদিন রেডিওর অনুষ্ঠান শুনছিলাম আর সেদিন সম্পূর্ণভাবে পাল্টে যায় আমার ধারণা। সেখানে শুনলাম করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে থানকুনি পাতা, রসুনসহ যে ধরনের তথ্যগুলো ছড়িয়েছে সেগুলো মিথ্যে তথ্য। অনুষ্ঠানে শুনলাম সঠিক তথ্য কিভাবে আমরা পাব সেই ঠিকানা। পাশাপাশি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের দরকার সচেতনতা।”মিমের বাড়ি প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ার কারণে সেই এলাকার মানুষ এমন গুজবেই বিশ্বাস করেন বলে জানান। সেই দিনের অনুষ্ঠানের মাধ্যম তিনি ফিরে পেয়েছেন স্বস্তি এবং জেনেছেন সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নিয়ম-কানুন। তারপর থেকে ফেইসবুকের সব তথ্য বিশ্বাস করার আগে যাচাই করে নেন এবং হতাশাজনক খরবগুলো এড়িয়ে চলেন। বন্ধু মহলেও মিম তার এই পরিবর্তনের কথা শেয়ার করেন। তারপর তার সাথে আরো কয়েকজন নতুন শ্রোতা হিসেবে যুক্ত হয়ে নিয়মিত এই অনুষ্ঠান শুনতে থাকেন। তিনি আমাদের ধন্যবাদ জানান রেডিওর ফোনকল অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও।