দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়। এই স্লোগানে দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারসহ দেশের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করে দম্পতিরা ক’টি সন্তান নেবেন তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এমনি একটি পদ্ধতি ইমপ্ল্যান্ট। এটি ৩-৫ বছর মেয়াদী একটি অস্থায়ী র্দীঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। একটি সন্তান জীবিত আছেন এবং কয়েক বছর আর সন্তান নিতে চাননা, এমন দম্পতি এই পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারবেন। এমনি একজন গ্রহীতা চফ্যাসনের বেতুয়া এলাকার ফারজানা বেগম। তিনি বলেন, প্রথম সন্তান হওয়ার পর এই পদ্ধতি গ্রহণ করেন। ৩ বছর পর ইমপ্ল্যান্ট খুলে ফেলে পুনঃরায় গর্ভধারণ করার পরিকল্পনা করছেন তিনি। শুধু ফারজানা নয় এ বিষয়ে জানার পর চরফ্যাসনের অনেক নারীই এখন ইমপ্ল্যান্ট গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এই এলাকার মারুফা বেগম ও তার স্বামী মোঃ মিলন এবং আছমা বেগম।এ বিষয়ে চরফ্যাসন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শীকা এফডাব্লিউভি নিশি আক্তার বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ পরিবার বিয়ের পর একটু দেরিতে বাচ্চা নিতে চান, বা প্রথম সন্তান নেওয়ার পর বিরতি নিতে চান তারাই ইমপ্ল্যান্ট পদ্ধতি গ্রহন করার জন্য হাসপাতালে আসেন।তিনি আরো বলেন, ইমপ্ল্যান্টের বিশেষ সুবিধা হলো, এটি খুলে ফেলার সাথে সাথেই গর্ভধারণ করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে, এটি গ্রহণ বা খুলে ফেলার সময় অবশ্যই নিকটস্থ ক্লিনিক, হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার বা প্রশিক্ষিত নার্সের কাছে যেতে হবে। মৌসুমী মনিষারেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।