প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো অল্প বয়সে ছেলে-মেয়েদর বিয়ে দেওয়া হয়। এতে করে প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে না জানায় অপরিকল্পিত গর্ভধারণের হার বাড়ছে। করোনার এই মহামারিতে অপরিনত বয়সের ছেলে মেয়ের বিয়ের হার বেড়েছে। অল্প বয়সি নবদম্পতিরা পরিবার পরিকল্পনার কোনো পদ্ধতি সম্পর্কে না জানার কারণে অল্প বয়সেই গর্ভধারণ করছেন। এতে করে ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন এইসব নবদম্পতিরা। এমনটা জানান চরফ্যাসন মাদ্রাজ এলাকার মৌরী। কথা হয় এই এলকার লিমা আক্তারের সাথে। ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় তার। বিয়ের ৬ মাসের বেলায় গর্ভধারণ করেছেন তিনি। বলেন, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। জানলে আমি এত অল্প সময়ে বাচ্চান নিতাম না। বাচ্চা হওয়ার পর শারীরিকভাবে (মাথাঘুরা, দূর্বল লাগা, কোমর ব্যথা ইত্যাদি সমস্যাগুলো হয়। অন্যদিকে প্রতিবেশি (হাজেরা ও নিপা) বলেন, আমরা নিজেরাও এসব পদ্ধতি সম্পর্কে জানতাম না। বিবাহিত অল্প বয়সী মেয়েরা আর কি জানবে। আগে যদিও পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতাম না, এখন পদ্ধতি গ্রহন করি। এদিকে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা এফডাব্লিউ ভি নাছিমা আক্তার বলেন, এই এলাকার অনেক মেয়ে অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করে। এরপর যখন নানান সমস্যা হয় বিভিন্ন ক্লিনিক, হাসপাতাল বা তাদের কাছে আসেন পরামর্শ বা গর্ভপাত করাতে। তিনি আরো বলেন, এসব কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই শুধু অল্প বয়সী নারীদের জন্যই নয়, পরিবার পরিকল্পনা সকলের জন্যই জরুরী। মৌসুমী মনিষারেডিও মেঘনা -চরফ্যাসন