শীতের এই মৌসুমে করোনার সংক্রমণ হার বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই করোনার ব্যাপক সংক্রমণ প্রতিরোধে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার “নো মাস্ক, নো সার্ভিস” নীতি ঘোষণা করেছে। সারাদেশের ন্যায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে চরফ্যাসন উপজেলা প্রশাসন ও ভোলা জেলা প্রশাসন, বলেন ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক। বিশেষজ্ঞরা শীতের এই মৌসুমে করোনার ব্যাপক সংক্রমণের আশঙ্কা করলেও কোনো শঙ্কাই নেই ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার মানুষের মাঝে। রাস্তাঘাট ও হাট বাজারে জনসাধারণের মাঝে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধির কোনো কিছুই চোখে পড়ে না। আমাগো এহানে করুনা টরুনা নাই, আমাগো করুনা হইবোনা। এমন ভাবই ব্যক্ত করেন সাধারণ মানুষ।করনোর দ্বিতীয় ঢেউএর সংক্রমন নিয়ে কোনো ধরনের সচেতনতা না থাকালেও সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য উপজেলার পৌর শহরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট বাজারে, মসজিদ, মন্দিরে বিতরণ করা হচ্ছে লিপলেট। মাস্ক না পরে বাহিরে বের হলেই জেল জরিমানা করা হবে। এমটাই জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন। এদিকে ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউএর ঝুঁকি মোকাবিলার জেলা প্রশাসন থেকে প্রস্তুতিসহ অনলাইন সভা সেমিনার করা হয়েছে। সরকারের দেওয়া ‘নো মাস্ক, নো সার্র্ভিস’ নীতিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে জেলা প্রশাসন এদিকে ভোলা জেলা সিভিল সার্জন রেজাউল ইসলাম বলেন, শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকি থাকলেও ভোলা জেলায় করোনার প্রভাব অনেকটাই কম। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সাধারণ জনগনকে সচেতন থাকতে হবে। মুখে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করতে হবে। সিভিল সার্জনের দেওয়া তথ্য মতে ভোলা জেলায় এ পযর্ন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪৯ এবং মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। প্রতিবেদনে মৌসুমী মনীষা রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।